চট্টগ্রাম লোহাগাড়া থানার পদুয়া ইউনিয়ন খন্দকার পাড়ার মৃত সরোয়ার কামালের বড় ছেলে প্রতারক ফরিদুল আলম ফেসবুকে বিত্তশালী মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বাড়ি গাড়ীর লোভ দিয়ে মেয়েদের বিয়ের করার জন্য প্রভাবিত করে। প্রতারক ফরিদুল আলমের ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিষ্টে দেখা যায় ৩২০০ বন্ধুর মধ্যে প্রায় ৩১৫০ জনই সমাজের বিত্তশালী মেয়েদের নাম এসব মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় নিজেকে বিশাল বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে প্রাথমিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
নারীদের দিয়ে দেহব্যবসাসহ বাংলাদেশের অভিজাত হোটেলে নারী সরবরাহের ডিলার ফরিদুল আলম , একই সাথে সাপ্লাই করতো ইয়াবাও। কয়েকবছর ধরে রাজধানীর অভিজাত এলাকা কেন্দ্রীক অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা প্রতারক ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে।
কোটি
মানুষের শহর রাজধানী ঢাকা। জীবিকার তাড়নায় রঙিন এই শহরে ছুটে আসা সাধারণ
মানুষকে টার্গেট করে বাটপার ফরিদুল আলম, তার প্রতারনার জালে আটকে অনেকে বেছে নেন অবৈধ জীবিকার পথ। পা বাড়ান অপরাধমূলক
নানা কর্মকাণ্ডে। ফরিদুল আলম বিভিন্ন কৌশলে পাতেন নানা ফাঁদ। লোভে পড়ে সেই ফাঁদে একবার পা দিলেই
সবশেষ।
গুলশান-বনানীসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকা কেন্দ্রিক অপরাধের ভয়ঙ্কর এক ফাঁদ পেতেছেন ফরিদুল আলম। তার কাজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে, অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করা। তবে শুধু নারীই নয়, পাশাপাশি ইয়াবা সরবরাহ করেও অধিক উপার্জনের পথ বের করে চিটার ফরিদুল আলম।
প্রতারক ফরিদুল আলম অভিজাত
হোটেল ও অভিজাত বাসাতে এরইমধ্যে প্রায় ৬ হাজারের মতো নারী সরবরাহ করেছেন।
অর্থাৎ ওই নারী যখন কোনো পুরুষের কাছে যাচ্ছেন, তখন সে একদিকে ইয়াবাও
বিক্রি করছেন। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের কাছ
থেকে এ সুবিধা নিয়েছেন বলে, আমাদের অনুসন্ধান টিমের কাছে।
ফরিদুল আলমের কাছ থেকে অসংখ্য নারীর খোলামেলা ছবির তথ্য পাওয়া যায়। যাদের ব্যবহার করে
রমরমা বাণিজ্য চালাতো ফরিদুল। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি কিংবা ভিডিও সংরক্ষণ করেও ফরিদুল মানুষকে জিম্মি করে।