প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের গাজায় অসহায় মুসলানদের ওপর দীর্ঘ
প্রায় দুই বছর যাবৎ যে আগ্রাসন চালাচ্ছে , তার নির্মমতা, ভয়াবহতা
কতটা গভীর, কতটা উদ্বেগের তা যেনো এখন হারে হারে টের পাচ্ছে দেশটির । গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহায়
পায়নি নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই। মসজিদ থেকে হাসপাতাল কোন কিছুই বাদ যায়নি
ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাত থেকে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পর্যন্ত ইরানের হামলা থেকে বাঁচতে হেলিকপ্টারে করে পালিয়েছেন দিনের আলোতে। গাজা উপত্যকাকে ধ্বংশ স্তুপে পরিণত
করে ইসরায়েল এবার ইরানের হামলার কবলে পড়েছে। আগ বাড়িয়ে ইরানে হামলা চালাতে
গিয়ে এখন ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে যেনো গাজার প্রতিচ্ছবিই দেখছে
ইসরায়েল বাসী।
যেই ইসরায়েল এতদিন ধরে গাজায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংশস্তুপ বানিয়েছে, আজ সেই একই ধরনের ধ্বংসস্তূপ, আতঙ্ক ও মৃত্যু দেখতে পাচ্ছে নিজ ভূখণ্ডে। বিশ্লেষকরা বলছেন ইসরায়েল যেন এখন গাজারই প্রতিচ্ছবি। ২৩ এর অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লাগাতার হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইরান ও তার মিত্ররা সম্প্রতি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাবে। দেশটির বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণ, আতঙ্ক ও ক্ষয়ক্ষতি ছড়িয়ে পড়েছে। তেলআবিব, হাইফা ও জেরুজালেমে রাতভর সাইরেন বাজছে। এমনকি দিনের আলোতেও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরান।
মুহুর্মুহু ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে এখন দিশেহারা নেতানিয়াহু সরকার। বারবার ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুদ্ধ থামানোর। কিন্তু ইরানও নাছোড় বান্দা, ইসরায়েলকে উচিৎ শিক্ষা না দিয়ে ওরাও থামতে রাজি নয়। এ যেনো প্রকৃতির মধুর প্রতিশোধ। ইসরায়েল গাজায় নিরীহ মুসলমানদের ওপর অমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালালে বারবার যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয় ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে, হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও নেতানিয়াহু যেনো ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলমানদের রক্ত নিয়ে উল্লাসে মেতেছে।
ইতিহাস সাক্ষী অন্যায়ভাবে কারো ওপর আগ্রাসন চালালে সেই আগুন একদিন নিজের ঘরেও লাগে। নেতানিয়াহু সরকারের উচিত এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ এ ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলমানদের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করা, এমনটিই বলছেন বিশ্লেষকরা।