কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণা চক্রের চার সদস্য আব্দুল মালেক খানের ছেলে কালাম খান, ভান্ডরিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাটি গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান গ্রেফতার করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। গত শুক্রবার গভীর রাত ঝালকাঠির রাজাপুর ও যশোরের কেশবপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ বেশ কয়েকটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইছামতশেরপুর এসবি ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ কয়লা কেনার জন্য যশোরের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ১৯ মার্চ ভাটা মালিক সাজু প্রধানও ম্যানেজার টুলু মিয়া কয়লা নিতে যশোরে আসে।
আসামিরা তাদের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার একটি কয়লা ডিপোতে নিয়ে যায়। এবং ৫টি ট্রাকে ১১৯ টন কয়লা লোড করে স্কেলের কাজ শেষ করেন। এরপর কয়লার মূল্য ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক আসামিদের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামীয় দুটি একাউন্টে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে।
কয়লা পৌঁছানোর পর বাকী টাকা দেয়ার কথা হয়। কিন্তু তারা কয়লা না পাঠিয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এবং নিজেদের মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র। টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ভাটার ম্যানেজার টুলু মিয়া গতকাল শুক্রবার রাতে মামলা করে। এরপর ডিবির একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শুক্রবার রাতে আসামি কালাম খান ও নাসির উদ্দিন নামে দুই প্রতারককে ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে গ্রেফতার করেন।
এরপর তাদের দেয়া তথ্য মতে গতকাল শনিবার ভোরে যশোরের কেশবপুর থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোরের ডিবির ওসি মনজরুল হক ভূইয়া আরো জানান, আটককৃতদের নামে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশালে ১২টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।